পাবনা প্রতিনিধি \ এলজিইডি পাবনা অঞ্চলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, রাজশাহী বিভাগ) কে. এম. জুলফিকার আলী বলেছেন, দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে জনসাধারণের ভোগান্তি হয় এমন কোন কিছু করা যাবে না। প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকার বিভিন্ন বিষয় লক্ষ্য রেখে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেন। সড়কের কাজ করতে গেলে ধূলোবালিতে আশেপাশের ঘর-বাড়ি নোংড়া না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সড়কে জানযটের সৃষ্টি না হয় সেদিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে। কোন ব্যক্তি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হলে তার উপযুক্ত ক্ষতি পূরণ দিয়ে কাজটি করতে হবে। সড়ক নির্মাণ/সংস্কার হলে এলাকার কি উন্নয়ন হয় তা স্থানীয়দের বুঝাতে পারলে কাজটি আরও সহজ হয়। নারী শ্রমিকদের জন্য কার্যাঞ্চলে আলাদা টয়লেট স্থাপনসহ স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এ সকল বিষয়ে লক্ষ্য রেখে কাজ করলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে, সরকারের উদ্দেশ্য সফল হবে। সোমবার (২৪’ জানুয়ারি) দিনব্যাপী এলজিইডি পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পাবনায় সেকেন্ড রুরাল ট্রান্সপোর্ট ইমপ্রæভমেন্ট প্রজেক্ট (অতিরিক্ত অর্থায়ন) আওতায় অভিযোগ নিরসন কমিটি (জিআরসি) এবং পরামর্শ ও অভিযোগ নিরসন কমিটি (এসসিসি) এর কর্মপরিধি সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন সাংবাদিক দেখে ভয় পেয়ে দূরে থাকলে চলবে না, সাংবাদিকদের কাছে সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে। প্রয়োজনে উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের আশে পাশের জনসাধারনের সাথে আলোচনা করতে হবে। এলাকার মানুষ তাদের কাজ বুঝে নিতে পারে সেজন্য কাজের ওয়ার্ক অর্ডার পাশে টানিয়ে দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে বর্তমান সরকার।
কর্মশালার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং আরটিআইপি-২ প্রকল্পে সোস্যাল সেফগার্ড সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করেন এলজিইডি গাজীপুরের আরটিআইপি-২, আঞ্চল-১, উপ-প্রকল্প পরিচালক রোজদিদ আহম্মদ। স্বাগত বক্তব্য দেন এলজিইডি পাবনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান মন্ডল। কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেন আরটিআইপি-২ এর ডিএন্ডএসসি সোস্যাল সাইন্টিস্ট কাম রিসেটেলমেন্ট স্পেশালিস্ট আসাদুজ্জামান চৌধুরী এবং সিনিয়র সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট কবিরুল ইসলাম।
কর্মশালায় ইল্ট্রেনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক, সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ, এলজিইডি পাবনার সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান মুহিম, জেলার বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী ও এনজিও প্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এলজিইডি পাবনার সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন। পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন আটঘরিয়া উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল আজিজ।