পাবনায় শামীম হত্যার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

শেয়ার করুন

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনায় আওয়ামীলীগ নেতা শহীদ শামীম হোসেন (৪০) হত্যায় খুনিদের গ্রেফতার ও আসামী পক্ষের মিথ্যা তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবারের সদস্যরা। ৩০ জানুয়ারি (রবিবার) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের শেষ দিকে চতুর্থ ধাপের উইনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন আ.রীগ নেতা শহীদ শামীম হোসেন। শামীম সাবেক জেলা ছাত্রলীগ ও হিমায়েতপুর ইউনিয়নে ওয়ার্ড আ.লীগের প্রচার সম্মাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত শামীমের ভগ্নিপতি ইমাম হাসান, মামলার বাদী নিহত শামীমের পিতা নূর আলী সরদার, স্ত্রী রিক্তা খাতুন, ছেলে তাজমির হোসেন ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম মধু।

এ সময় নিহত শামীমের পিতা বলেন, নির্বাচন পরবর্তীতে শত্রুতামূলক ভাবে সকলের সম্মুখে আমার সন্তানকে হত্যা করা হয়। খুনিরা প্রকাশ্যে গুলিকরে হত্যা করে আমার ছেলেকে। এই ঘটনার পরে প্রশাসন দুইজনকে গ্রেফতার করলেও এই মামলার প্রধান আসামী ইমরান খাঁকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলায় তিন জনকে গ্রেফতার করলেও তারা জামিনে মুক্ত হয়ে আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা না দিয়ে খুনিদের বাড়িঘর পাহারা দিচ্ছে। এই হত্যা মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে খুনিরা। তারা বলেন, এখন তাদের নামে উল্টা মিথ্যা মামলা দেয়ার জন্য নানা ধরনের চেষ্টা করছেন বলে জানান তারা।
তাই পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধান আসামসীকে গ্রেফতারসহ মামলার বাদি ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের কাছে ৫ দফা তুলে ধরেন। দাবি সমুহ হলো, এই মামলার প্রধান পলাতক আসামী ইমরান খাঁকে গ্রেফতার করা। মামলার অন্যতম আসামী হুকুমদাতা সাবেক চেয়ারম্যানকেনিলু খাঁকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। খুনিদের হাত থেকে এলাকার সাধারন মানুষ ও মামলার বাদী পক্ষের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। মামলাকে যাতে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে না পারে তার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্ঠি কামনা করেন। মামলার সঠিক তদন্তের জন্য পুলিশের কাছ থেকে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা।

গত বছর নির্বাচন পরবর্তীতে ২৮ ডিসেম্মর হিমায়েতপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর হাটপাড়া বাড়ির পাশে বাজারের উপরে দূর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন আ.লীগ নেতা শহীদ শামীম। এই ঘটনার পরে ২৯ জানুয়ারি শামীমের বাবা মো. নূর আলী সরদার বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যা কান্ডের ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মতায়েন করা হয়। কিন্তু এই মামলার গ্রেফতারকৃত আসামীরা জামিনে মুক্ত হয়ে বাদি পক্ষের পরিবারের সদস্যদের নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রর্দশন করছে বলে অভিযোগ করেন সংবাদ সম্মেলনে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *