পাবনা (সুজানগর) প্রতিনিধি : পাবনা সুজানগর উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এর উইনিয়ন পরিষদের সদস্য এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী খোকন শেখকে গ্রেপ্তার করেছে সুজানগর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ মে ) সুজানগর থানা পুলিশ চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে । তার বিরুদ্ধে থানাতে একাধিক মামলা আছে বলে জানা যায়। খোকন গ্রেপ্তার হওয়ার সংবাদে এলাকার সাধারণ মানুষ স্বস্তি ফিরেছে।
শীর্ষ সন্ত্রাসী খোকনের নির্যাতনের স্বীকার ভুক্তভোগী নারী মোছা. সুফিয়া খাতুন অভিযোগ করে বলেন, গত (১৫ এপ্রিল) শুক্রবার রাত ১০টায় হাটখালী চরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উৎপেতে থাকা খোকনসহ ৬/৭জন সন্ত্রাসী সিএনজি চালকে মারধর করছিল। আমার ভাসুর মো. তোকমান শেখ সিএনজির চালকে মারার কারণ জানতে চাইলে তাকেও বেধরক মারপিট করে সন্ত্রাসী খোকন বাহিনী। এ সময় অন্যরা বাধা দিতে গেলে তাদেরকেও আঘাত করা হয়। ঘটনায় তোকমান, কাদেরসহ বেশ কয়েক জন গুরুত্বর আহত হয়।
এই ঘটনায় সুফিয়া খাতুন নিজে বাদী হয়ে সুজানগর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এই অভিযোগের আলোকে বেশ কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু আসামীরা জামিনে বের হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। বাদী পক্ষের কাছে তোকমান ও সুফিয়া খাতুনের কাছে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং পূর্বের মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়। শীর্ষ সন্ত্রাসী খোকন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলছে বলে জানায় এলাকাবাসী। সন্ত্রাসী খোকনের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না, মামলা করেও কেউ ঘরে থাকতে পারে না। এমন কোন অপকর্ম নেই যে তার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নেই। এলাকায় সাধারণ মানুষের জমি দখল, চাঁদাবাজি, মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুরিয়ে দেওয়া, মাদক ব্যবসা সহ নানা অপকর্ম করে আসছে এই ইউপি সদস্য সন্ত্রাসী খোকন ও তার দলবল।
ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা সন্ত্রাসী খোকনের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
জানা যায় গত ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডে যে সকল মেম্বর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন তাদের উপর অমানবিক নির্যাতন করেছে এই খোকন সেখ। এ ছাড়া সকল বাধা অতিক্রম করে আব্দুল আলিম মোল্লা নামে একজন প্রার্থী নির্বাচনের মনোনয়ন ফর্ম তুললে খোকন ও তার দলবল নিয়ে প্রার্থীর বাড়ি গিয়ে মনোনয়ন পত্র ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে মানুষের সামনে অগুনে পুড়িয়ে দেন। একই সাথে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলে। বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হয় এই সন্ত্রসী খোকন সেখ।
এলাকাবাসী আরও বলেন হাটখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ খানের সাথে হাত মিলিয়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজী বৃদ্ধি ও সরকারের দেওয়া সকল প্রকল্প লুটপাট করছে বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এদিকে সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে জানান, আমরা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে খোকন সহ দুইজন আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছি । এলাকায় টহল পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছি । সন্ত্রাস চাঁদাবাজী যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।