রাবি প্রতিনিধি : একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের বিচার ও শাস্তির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
রোববার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টায় শহীদ তাজ উদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনের সামনে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাত্তার সাব্বির বলেন, ‘আমাদের জন্য আগস্ট একটি শোকাবহ মাস। আগস্ট মাসেই ইতিহাসের চরম নির্মমতাগুলো সংগঠিত হয়েছে। এ মাসেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল।’
তিনি আরো বলেন, ৭১এর যে পরাজিত শক্তি ৭৫ এর খুনিচক্র তারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল তা আমরা জানি এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাংলাদেশকে চিরতরে মুছে ফেলে পাকিস্থানে ফিরে যাওয়ার একটি ষড়যন্ত্র। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে আমি আপনি আওয়ামীলীগ করি আর না করি তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ একমাত্র দল যার সৃষ্টি হয়েছিল জনগণের হৃদয়ের উত্তাপ থেকে। যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল। আজ প্রধানমন্ত্রীর প্রাজ্ঞ-বিজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন আমরা তার দ্বারপ্রান্তে দাড়িয়ে আছি।
এ সময় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের দ্রুত শাস্তির নিশ্চিতের দাবি জানান উপাচার্য। প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭৫ সালে যে কুচক্রী মহলটির ষড়যন্ত্রে আমাদের কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুকে কেড়ে নিয়েছেন বর্তমানেও দেশের বিরুদ্ধে সেই প্রেতাত্মারা এখনও তৎপর রয়েছে। তাদের সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পাকিস্থানের এই দোসররা চেয়েছিল দেশকে নেতৃত্বশুন্য করতে। কিন্তু এদেশের জনগন আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে সহযোগিতা করে চলেছে।
এসময় মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ফায়েকুজ্জামান, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস, আইন বিভাগের অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক রবিউল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শতাধিক শিক্ষক সেখানে উপস্থিত ছিলেন।