পাবনায় চাঞ্চল্যকর সুমন হত্যার মামলা দায়ের; খুণীদের ধরতে অভিযানে পুলিশ

শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনা পৌর সদরের দোগাছি ইউনিয়নের দক্ষিন রামচন্দ্রপুর এলাকায় (৩ জুলাই) শনিবার দুপুরে মো. সুমন প্রামানিক (৪০) নামের এক যুবকে প্রকাশ্যে তার স্ত্রীর সম্মুখে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৫জনের নাম উল্লেখ করে স্ত্রী রিমা আক্তার নিজে বাদী হয়ে পাবনা সদর থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এদিকে এই হত্যাকান্ডের পরে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনা স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গেছে।

মামলার প্রধান আসামী হলেন দক্ষিন রামচন্দ্রপুর এলাকার মানু প্রামানিকের দুই ছেলে টিটু প্রামানিক (২৭) ও মিঠু প্রামানিক(২৭) এরা যমজ দুই ভাই। এছাড়া একই এলাকার মৃত এলিম হোসের ছেলে রুমন হোসন(৩৫), রমজান আলীর ছেলে সঞ্জু (৩৭) ও একই এলাকার আম্বার উদ্দিনের ছেলে মান্না উদ্দিন (৩০)। এছাড়া অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েক জনের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও এখনো কোন আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে গতকাল রাতে নিহত সুমনের পরিবারে পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরে অভিযুক্ত খুনিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো রওশন ইয়াজদানি।
তিনি বলেন, ঘটনা স্থলে জেলা পুলিশের সকল উর্ধতন কর্মকর্তা গিয়েছিলেন। পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে আমরা ধারনা করছি। ঘটনার পরে শনিবার রাতে নিহত সুমনের স্ত্রী রিমা আক্তার নিজে বাদী হয়ে পাবনা সদর থানাকে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে আমরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছি। আশা করছি খুব সল্প সময়ের মধ্যে সকল আসামীকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
প্রসঙ্গত, পাবনা সদরের দোগাছি ইউনিয়নের দক্ষিন রামচন্দ্রর ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় মো. সুমন প্রামানিক(৪০) নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে দিনের বেলাতে তার স্ত্রীর সম্মুখে বাড়ির পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। শনিবার (০৩ জুলাই) দুপুর ২টা দিকে এই হত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত সুমন প্রামানিক মৃত, বাকী প্রামানিকের ছেলে। ঘটনার পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী হত্যাকান্ডের অভিযুক্ত খুনিদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় তিনটি বসত বাড়ি পুরে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দীর্ঘ এক ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

পরিবার ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত সুমান প্রামানিক পূর্বে প্রায় ৭ বছর বিদেশে ছিলো। গত বছরের একই এলাকার কাউন্সিলর বকুল শেখকে হত্যা করা হয়। নিহত সুমন বকুল শেখের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো। বকুল হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে এই হত্যা কান্ডের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। তবে পরিবার এই হত্যা কান্ডের সঠিক কারণ বলতে পারেনি। কি কারনে কিসের জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটা এখনো পরিস্কার নয়। তবে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি পরিবারসহ স্থানীয়দের।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *