ডেস্ক রিপোর্ট : সৃজনশীল ও মননশীল সাহিত্যের সহযাত্রী’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ২০১১ খ্রি. থেকে ‘আইএফআইসি ব্যাংকের উদ্যোগে প্রতি বছর দু’টি বিভাগে দু’জন লেখককে ‘সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি-২০২৩ খ্রি.) রাজধানী ঢাকার পল্টনে আইএফআইসি টাওয়ারে ১২তম বছরে পুরস্কার প্রদানের আয়োজন করে ব্যাংকটি।
তারই ধারাবাহিকতায় ২০২০ খ্রি. সৃজনশীল বিভাগে ‘দুধ’ শিরোনামের বইয়ের জন্য সাংবাদিক ও লেখক মশিউল আলম, ২০২১ খ্রি. মননশীল বিভাগে ‘নজরুল সংগীত’ বাণীর বৈভব’ শিরোনামের বইয়ের জন্য বিশিষ্ট কবি ও গবেষক আমিনুল ইসলাম এবং সৃজনশীল বিভাগে ‘উজানবাঁশি’ শিরোনামের উপন্যাসের জন্য সাহিত্যিক স্বকৃত নোমান কে আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। নির্বাচিত প্রত্যেক সেরা লেখককে উত্তরীয় পড়িয়ে সম্মান জানানো হয় এবং পুরস্কারের ৫ লক্ষ টাকা, ক্রেস্ট ও প্রশংসাপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউট-এর বিশ্ব সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, আইএফআইসি ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকবৃন্দ, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ এ সারওয়ার, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, গুণীজন এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ২০১৮ ও ২০১৯ খ্রি. আনুষ্ঠান আয়োজন সম্ভব না হওয়ায় সেই সময়ে নির্বাচিত বইয়ের লেখকবৃন্দের হাতেও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। এছাড়াও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘আইএফআইসি সংস্কৃতিরত্ন সম্মাননা-২০২০’ প্রদান করা হয়। ২০১৮ খ্রি. মননশীল বিভাগে ‘বিদ্রোহী রণক্লান্ত : নজরুল জীবনী’ গ্রন্থের জন্য বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক গোলাম মুরশিদ এবং সৃজনশীল বিভাগে ‘মায়ানগর’ গ্রন্থের জন্য বিশিষ্ট লেখক ও সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন এবং ২০১৯ খ্রি. মননশীল বিভাগে ‘ভাষা আন্দোলন : টেকনাফ টু তেঁতুলিয়া’ গ্রন্থের জন্য কবি, প্রবন্ধকার ও গবেষক আহমদ রফিক এবং সৃজনশীল বিভাগে ‘আগস্ট আবছায়া’ গ্রন্থের জন্য কবি, লেখক-সাহিত্যিক মাসরুর আরেফিন কে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
