দোষীদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগীর

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার : পাবনা বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার আহম্মেদপুর দক্ষিণচরের মৃত নিফাজ উদ্দিন মিরের ছেলে আব্দুল কাদের মির হামলার ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

মঙ্গলবার ৭ মার্চ সন্ধ্যায় পাবনা সিনসা সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একের পর এক অন্যায় ভাবে তার এবং তার পরিবারের উপর নগ্ন হামলা চালানো হচ্ছে। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে। মামলা চলাকালীন আদালত প্রাঙ্গণে স্বাক্ষীকে প্রাণনাশের ভয় দেখানো, তুচ্ছঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাক্ষীকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনাও ঘটিয়েছে প্রতিপক্ষর লোকজন বলে তিনি জানান। আব্দুল কাদেরের স্ত্রী রুবিয়া বেগম জানান, ৬ মার্চ/২৩ দুপুর ১ টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের বাঁশ ঝাড় থেকে বাঁশ কাটতে শুরু করে। তিনি তাদের বাঁশ কাটতে নিষেধ করেন। তারা তার উপর মারমুখি হন এবং তার মাথা লক্ষ করে তাদের হাতে থাকা ধারালো কুড়াল দিয়ে কোপ দেয়। হাত দিয়ে কোপ ঠেকাতে গেলে তার হাত কেটে রক্ষাক্ত জখম হয়। এ ঘটনায় আমিনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আব্দুল কাদের মির জানান ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর রাত ৮ টার দিকে আহম্মেদপুর দক্ষিণচর নিজ বাড়ী থেকে একই ইউনিয়নে পাশের গ্রামে অবস্থিত শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে বাড়ীর পাশের মেহগনি গাছের মধ্যে উৎপেতে থাকা জিন্না মেম্বর, মেহেদী ও সোহান সহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী তার উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং তার উপর লোহার রড দিয়ে এলোপাথারিভাবে মারপিট করে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। প্রতিপক্ষের হাতে থাকা ধারালো হাসুয়ার কোঁপে তার মাথা কেটে যায়। তার সাথে থাকা তার ছেলে মীর সাব্বির ও ভাগ্নে নজরুল ইসলাম‘র আত্ম চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। মাথায় অনেকগুলো শিলাই করতে হয়। এ ঘটনায় মামলা করা হয়। মামলায় চার্জশীট দেওয়া হয়েছে। মামলা চলমান। এ মামলায় অন্যতম স্বাক্ষী তার স্ত্রী কয়েকদিন আগে স্বাক্ষীদিতে পাবনা কোর্টে আসেন। কোর্টের উপরই প্রতিপক্ষের আইনজীবি বিভিন্ন ভাবে তাকে ভয়ভীতি দেখান। আব্দুল কাদের মিরের ভাগ্নে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আহম্মেদপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি সামসুর রহমান জানান, দোষীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হলে ভবিষতে এ ধরনের অন্যায় করার সাহস কেহ পাবে না। তিনি বলেন শত্রুতার জের ধরে আমার মামাকে মারধোর করা হয়েছে। সেটা নিয়ে মামলা হয়েছে। মামলায় যে টা হবে হবে। কিন্তু আমার মামীকে কেন শারিরীক ভাবে রক্তাক্ত জখম করা হলো। এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। সংবাদ সম্মেলনে তারা তাদের জীবনের নিরাপত্তা সহ দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবী জানান।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে ছিলেন তার স্ত্রী রুবিয়া বেগম (৫৫), ছেলে মির সাব্বির এবং ভাগ্নে সামসুর রহমান।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *