পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার মধুপুর গ্রামের পতিত সরকারের যুবলীগ ক্যাডার শফিকুল ইসলাম শফি, গ্রাম্য আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রহিম ও তার ছেলে পলাশ এবং শফির ভাই আব্দুল ওহাব গত ২৫ মার্চ ২০২৫ খ্রি. পাবনা প্রেসক্লাবে অবৈধ জমি দখল সংক্রান্ত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সাংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিপরীতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছেন ভূক্তভোগী স্থানীয়রা।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, পাবনা আতাইকুলা ইউনিয়নের পদ্মবিলা মৌজায় শফি তাদের ক্রয়কৃত শরীকানা সম্পত্তি ভোগ দখল নিয়ে জমির দখল সংক্রান্ত অভিযোগ করে। শুধু তাই নয়, জমির দখলের কথা বলতে গিয়ে শফি হাট দখল, চাউল বিক্রয়সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আসায় তার রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য প্রকাশ করে।
এছাড়াও ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং জামায়াত মনোনীত পাবনা-৫ আসনের এমপি প্রার্থী প্রিন্সিপাল ইকবাল হুসাইনকে জড়িয়ে তার সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করেছেন শফি। শফিকুল ইসলাম শফির বিভিন্ন প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রম নিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতার নির্দেশে বিষয়টি সুরাহার জন্য জেলা আমীকে বলা হয়। বরং শফি জেলা আমীরের ডাকে সারা না দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অন্যের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে, যেটা খুবই দুঃখজনক।
প্রকৃতপক্ষে শফিকুল ইসলাম শফির মধুপুর ক্লিনিক নামে মেরিল বাইপাসে একটি ক্লিনিক আছে। হাসপাতাল হতে কৌশলে তার ক্লিনিকে রোগী নিয়ে আসে। ইতিপূর্বে তার ক্লিনিকে রোগী মারাও গিয়েছে, ক্লিনিকের ছত্রছায়ায় সে অবৈধ দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত বলে অভিযোগও আছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন বিতর্কিত কারণে ক্লিনিকটি এর আগে সিলগালাও করা হয়। এছাড়াও মধুপুর শাকিল হত্যা মামলায় মধুপুরের বকুলকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বকুলের মা সুফিয়ার কাছ থেকে কৌশলে বিভিন্ন দাগ থেকে জমির দলিল করে নেয়।
ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন, জামায়াত সংগঠনের মান ক্ষুন্ন, প্রিন্সিপাল ইকবালের সুনাম ক্ষুন্ন করা, জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার জন্য যুবলীগ ক্যাডার শফিকুল ইসলাম শফি, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রহিম ও তার ছেলে পলাশ এবং শফির ভাই আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা প্রকাশ করে প্রশাসনসহ সংশ্লিদের নিকট দৃষ্ট্রান্তমুলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।