মুক্তচেতনা ডেস্ক : পরিবেশের ভারসাম্যতা রক্ষা এবং নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ইট তৈরি ও বিক্রয়ের দায়ে পাবনায় গত ৫ মাসে জেলা প্রশাসনের ৩৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ২০টি ইট ভাটার কার্যক্রম বন্ধা ঘোষণা করা হয় ও ভেঙ্গে ধ্বংস করা হয় আরও ১৪টি ইট ভাটা।
বিভিন্ন অপরাধে মোবাইল কোর্টে মামলা দেওয়া হয় ৭১টি, অর্থদন্ড দেওয়া হয় ৭১ জনকে এবং কারাদন্ড দেওয়া হয় ১৮ জনকে। সেই সাথে জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় সর্বমোট ৯১ লক্ষ ৭ হাজার টাকা। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী ২০২৪ খ্রি. ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. পর্যন্ত এসব মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
সূত্রেমতে, ২০২৪ খ্রি. ডিসেম্বর ঈশ্বরদী উপজেলার ফরিদপুরে ২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ৪টি মামলা, ৪ জনকে অর্থদন্ড দেওয়া হয়। সেই সাথে জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় ২ লক্ষ টাকা। ২০২৫ খ্রি. জানুয়ারিতে ঈশ্বরদী চাটমোহর ও ফরিদপুর উপজেলায় ৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১৫টি মামলা, ১৫ জনকে অর্থদন্ড এবং ৮জনকে কারাদন্ড দেওয়া হয়। এতে জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় ৬ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। ২০২৫ খ্রি. ফেব্রয়ারি ঈশ্বরদী উপজেলায় ১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১টি মামলা, ১ জনকে অর্থদন্ড দেওয়া হয়। এতে জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় ৫০ হাজার টাকা। ২০২৫ খ্রি. মার্চে পাবনা সদর, আটঘরিয়া, ঈশ্বরদী, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলায় ২৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ৩৪টি মামলা, ৩৪ জনকে অর্থদন্ড এবং ১০ জনকে কারাদন্ড দেওয়া হয়। এতে জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় ৩০ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। মার্চের পাবনা সদরে অপর আরেকটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১৬টি মামলা, ১৬ জনকে অর্থদন্ড এবং ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। ২০২৫ খ্রি. এপ্রিলে পাবনা সদর ও বেড়া উপজেলায় ২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১টি মামলা, ১ জনকে অর্থদন্ড এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এসব মোবাইল কোর্ট বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, আমি শুনেছি পাবনা একটি ঐতিহ্যবাহী পুরাতন জেলা। পাবনা জেলায় কাজের সুবাদে সেটার বাস্তবতা দেখছি। কৃষিক্ষেত্রে এজেলার সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। কৃষিজমি কেটে ইট তৈরি, পরিবেশের ভারসাম্যতা ও মানুষের স্বাস্থ্যঝুকিঁর বিষয়গুলো মাথায় রেখে স্থানীয়রা, সুশীল সমাজের আবেদন এবং বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় নিউজ প্রচারে প্রাপ্ত তথ্যর ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের মোবাইল কোর্ট অব্যহত থাকবে। পাবনা কে সুন্দর ও শৃঙ্খলার মধ্যে রাখতে আমি সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।