পিপ : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি বলেছেন, পাবনায় মাদক ছেয়ে গেছে। আধুনিক পাবনা গড়তে মাদক নির্মুল করতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ সব সময় উন্নয়নে বিশ্বাস করে। আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে হলে জনগনের চাহিদা অনুযায়ী তাঁদের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। এমপি, মন্ত্রী বা ডেপুটি স্পিকার হওয়ার উদ্দেশ্যে রাজনীতি নয়, তবে যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে পদ-পদবী বা দায়িত্ব পেয়ে গেলে তা বিশ্বস্ততার সহিত পালন করতে হবে, এমনটাই জাতির পিতা আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। রোববার (০৪ ডিসেম্বর) ২০২২ খ্রি. পাবনা জেলা পরিষদ চত্বরে জেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পাবনা জেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম. আব্দুর রহিম পাকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহ. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থপপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, বিশিষ্ট সমাজসেবক মোস্তাক আহমেদ সুইট, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ^াস রাসেল হোসেন, পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান প্রমুখ।
ডেপুটি স্পীকার বলেন, পাবনা জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে শহরের বিদ্যমান সমস্যা গুলোকে চিহ্নিত করে শহরকে উন্নতকরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এই উন্নয়ন কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
জেলা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পাবনায় কেউ যেন বিশৃংখলা তৈরি করতে না পারে সেদিকে তীক্ষè দৃষ্টি রাখবেন। পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে নদী খননের চেয়েও বড় যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, মাদকসেবী বা মাদক ব্যবসায়ী আপনাদের পক্ষে শ্লোগান দিলেই তাদেরকে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করেছেন আমাদের তা মানতে হবে। শামসুল হক টুকু বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারণা সকল স্তরের জনগনের কাছ থেকে গ্রহণ করতে হবে। প্রাপ্ত ধারণাগুলোর বাস্তবায়নে গবেষণার মাধ্যমে পরিকল্পনা গ্রহণ করে সেখানে যোগ্য ব্যক্তিদের ন্যস্ত করতে হবে।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে জেলা পরিষদের সম্মুখ চত্বরে নির্মিত বঙ্গবন্ধু’র ম্যুরালে শ্রদ্ধঞ্জলি অর্পণ করেন অতিথিবৃন্দ। এরপর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ করা হয় সহ সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু’র ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
শেষে আগত অতিথিবৃন্দ পাবনা জেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম. আব্দুর রহিম পাকন-কে জেলা পরিষদের চেয়ারে বসিয়ে মাথায় হাত দিয়ে আর্শিবাদ করেন এবং উন্নয়ন কাজে পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।