ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে আলোচিত দিপা আত্মহত্যার ঘটনাকে অন্য দিকে প্রভাবিত করার অভিযোগ স্বজনদের। দিপার মৃত্যুর দীর্ঘ সময় অতিক্রম হলেও এখনও মূল রহস্য উন্মোচন হয়নি। ঘটনার সত্যতা ধামাচাপা দিতে নানান দিকে মোড় নিচ্ছে দিপার আত্মহত্যার মূল রহস্য।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, দিপা আত্মহত্যার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন, আলো জেনারেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডাঃ শফিকুল ইসলাম শামীম। দিপার আত্মহত্যাকে পরিবার ও স্বজনরা হত্যা করেছেন বলে দোষ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ঈশ্বরদীর আলো জেনারেল হাসপাতালের কর্মচারী মোছা. দিপা খাতুনের ঝুলন্ত মৃতদেহ গত ২৬ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকাল ১১ টায় তার মামার বাড়ির শয়ন কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী।
মৃত্যুর পর থেকেই দীপার পরিবার পরিজন ও এলাকাবাসী দাবি করে আসছেন দীপার আত্মহত্যা রহস্যজনক এবং তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে ।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানা দীপার স্বজনরা আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে চাইলে গ্রহণ করেনি থানা কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে দিপার স্বজনরা জেলা পাবনার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট (আমলী ২ নং ) আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মোকদ্দমা নং- ৩৪/২০২২ (ঈশ্বরদী) । উক্ত মামলায় ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম শামীম (৪২)সহ ১০ জনকে আসামী করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান খান জানান, বর্তমানে মামলাটি পিবিআই এর অধীনে চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে মূল রহস্য জানা যাবে।
এদিকে অসচ্ছল পরিবারের মেয়ে, আলো জেনারেল হাসপাতালের ৮ হাজার টাকার বেতনের কর্মচারী দীপা ৭০ লাখ টাকার ঋনের বোঝা নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে কতিপয় ব্যাক্তি প্রচার করে। এ নিয়ে এলাকায় দীপার আত্মহত্যা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।
পরিবার ও এলাকাবাসী দিপা আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে দোষীদের দ্রুত শাস্তি দাবি করেন।