মুক্তচেতনা ডেস্ক : স্ব-উদ্যোগ ও স্ব-অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদশে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত শর্ট কোর্স পরিচালনাকারী ইনস্টিটিউট সমূহ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শর্ট কোর্স ঐক্য পরিষদ পাবনা জেলার উদ্যোগ বুধবার (১২ অক্টোবর) ২০২২ খ্রি. বেলা ১১টায় পাবনা প্রেসক্লাবের সম্মুখে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। কর্মসূচিতে জেলার অর্ধশতাধিক উদ্যোক্তাসহ সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সংহতি প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেন।
শর্ট কোর্স ঐক্য পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি ও পাথফাইন্ডার আইসিটি ইনস্টিটিউট অব ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের অধ্যক্ষ মো. তোফাজ্জল হোসেন-এর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলনের সভাপতি ও দৈনিক সিনসা সম্পাদক এস এম মাহবুব আলম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পাবনা জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সুইট, সৈয়দ ফাউন্ডেশনের পরিচালক শাহনাজ পারভীন প্রমুখ।
উদ্যোক্তারা উল্লেখ করেন প্রায় দুই যুগ ধরে স্ব-উদ্যোগ ও স্ব-অর্থায়নে বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সারা দেশের প্রায় ৩ হাজার ৭’শ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদনক্রমে ১০৮টি ট্রেডে প্রতি বছর প্রায় ৩ লক্ষ অদক্ষ বেকার জনগোষ্টিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সহ প্রতিনিয়ত বিশ্ব বাজারের চাহিদা মোতাবেক মান সম্মত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষমানব সম্পদ তৈরি করে জনশক্তি রপ্তানির সরকারকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে দেশে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অবদান রাখছে।
পাশাপাশি ৯০দশকের মাঝামাঝিতে দেশে তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশে প্রতিটি ক্ষেত্রে ইনস্টিটিউট গুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা ডিজিটালাইজেশন করণ (এনআইডি) কার্ড তৈরিতে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানব সম্পদ সরবরাহ করা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার দিন বদলের সনদ বাস্তবায়নের অন্যতম অঙ্গীকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তাবায়ন ও ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মাধ্যম আয়ের দেশের উন্নীতকরণে প্রধান স্তম্ভ কারিগরি শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছে।
বর্তমানে ইনস্টিটিউট গুলো সরকারের “রূপকল্প-২০৪১” বাস্তবায়নের উন্নয়নের মহাসড়কের দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দেশে বাস্তবায়িত মেগা প্রকল্প সমূহের দক্ষ মানব সম্পদ সরবরাহে গুরুত্ব পূর্ণ অবদান রেখে যাওয়া ইনস্টিটিউট গুলোর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গত ০৮ সেপ্টেম্বর,২০২২ইং তারিখে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা জানতে পারলাম যে, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ছাড়া অন্য কোন সংস্থা দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচলনা করতে পারবে না। বিষয়টি সারাদেশের উদ্যোক্তাদের শঙ্কিত করেছে। কারণ দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া তাড়াহুড়া করে এ কাজটি করতে গেলে দেশে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির চলমান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপশি সারাদেশের ৩ হাজার ৭’শ ইনস্টিটিউটের উদ্যোক্তা, ২ হাজার ৫ শ প্রশিক্ষক-কর্মকর্তা, এ সেক্টরের উপর নির্ভরশীর প্রায় লক্ষাধিক ব্যক্তির জীবনযাত্রা বিপন্ন হওার আশংকা থাকায় শর্ট কোর্স ঐক্য পরিষদ অধিকতর আধুনিকায়নের মাধ্যমে শর্ট কোর্স তথা দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির কার্যক্রম বা প্রশিক্ষণ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন চলমান রাখার জন্য বাঙ্গালি জাতির আশা-আকাঙ্খার প্রতীক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জাতীয় দক্ষতার কান্ডারী প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও সুদৃষ্টি কামনা করছে।
স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে জেলার শর্ট কোর্স পরিচালনাকারী ইনস্টিটিউট সমূহের পরিচালকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলিকন কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ফাহিমা সুলতানা, টেকপ্লাস কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের তসলিম আহমেদ, স্কাইনেট কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের জুলফিকার ইসলাম সাগর, আতাইকুলা ডিজিটাল কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের আব্দুদ দায়েন, পাথফেয়ার কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের কাজী মিজানুর রহমান, হ্যাপি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের আবু সাঈদ, ওয়ার্ল্ড ভিশন কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের জেসমিন আকবর, হক কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের মিজানুর রহমান, ডারকো কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের আশরাফুজ্জামান বিদুৎ, বন্ধন কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের রঞ্জু খান, ডিজিটাল কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের জয়ন্ত কুমার জয়, আতাইকুলা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের মো. হেলাল উদ্দিন, কম্পিউটার প্লাস একাডেমির এম এ আজিম, নিউরন কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের আব্দুর রহিম, হাটুরিয়া নাকলিয়া কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের মো. রায়হান উদ্দিন, গ্যালাক্সী কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের মো. আতাউর রহমান জনি, ইসমত আরা ইনস্টিটিউটের মো. সিরাজুল ইসলাম, নিউ বর্ণমালা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের মো. ইয়াকুব আলী প্রমুখ।