মনছুর আলম : ঐতিহ্যবাহী পাবনা ইছামতি নদী খনন কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে যান ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় পাবনা শহর থেকে কমিটির সদস্যগণ পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলা গয়েশপুর ব্রিজের নিকট পৌঁছালে কর্মরত সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড এবং এমএস আহাদ বিল্ডার্সের কর্মকর্তাগণ নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানান। অতপর তাঁরা নেতৃবৃন্দকে ইছামতি নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে ঘুরে দেখান। ইছামতি নদী খনন কাজের শুরুর পয়েন্ট অর্থাৎ সাঁথিয়া উপজেলার মাথপুরের পাশে জগন্নাথপুর ইছামতি নদী দেখিয়ে তাঁরা পর্যবেক্ষক দলকে বিদায় জানান।
সূত্র মতে, বর্তমানে ১৪২ টি ভেক্যু সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি একটানা ইছামতি খনন কাজ করছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএস আহাদ বিল্ডার্স খনন কাজ করছে এবং তত্ত্বাবধান করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। কাজের শেষ সীমা ধরা হয়েছে ৩১ মার্চ ২০২৭ খ্রি. পর্যন্ত। জানা যায়, খুব শীঘ্রই পাবনা শহরের মধ্যে খনন কাজ শুরু করা হবে। এ পরিদর্শনে অংশ নেন ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার উপদেষ্টা পাবনা জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভাপতি অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাহাতাব উদ্দিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে পাবনার একদল নদী ও পরিবেশকর্মী। আলহাজ¦ মাহাতাব উদ্দিন বিশ্বাস খনন কাজ দেখে খুব খুশি হন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য দোয়া করেন। তিনি বলেন, অতীতে বেশ কয়েকবার এই ইছামতি নদী খনন করার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার সেনাবাহিনীর মাধ্যমে যেভাবে কাজ করা হচ্ছে তাতে পাবনাবাসীর কাংঙ্খিত ইছমতি নদী পুনরুজ্জীবিত হবে। তিনি আরও বলেন, নদী খনন কাজে কোনো প্রতিবন্ধকতা সহ্য করা হবে না। যারা প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ তাদের জন্য সরকার অর্থ বরাদ্দ রেখেছেন। সুতরাং খনন কাজে কোন ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবেনা। খনন কাজে কেউ বাঁধা দিতে আসলে প্রয়োজনে আমরা পাবনাবাসীকে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবো। পাবনার উন্নয়নের পক্ষে আছি থাকবো ইনশআল্লাহ।
নদী পর্যবেক্ষণে যান, ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার সভাপতি ও বেলার নেটওয়ার্ক সদস্য এস এম মাহবুব আলম, সহ সভাপতি জাতীয়তাবাদী মহিলা দল পাবনার সভাপতি পূর্ণিমা ইসলাম, রিভারাইন পিপল পাবনার সভাপতি ও নদী গবেষক ড. মো. মনছুর আলম, ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার প্রচার সম্পাদক ও বেলার নেটওয়ার্ক সদস্য শফিক আল কামাল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. আল আমিন, সর্ব সদস্য রানা গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মোনায়েম খান, প্রধান শিক্ষক বুরহানুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক সৈয়দ ছাইফুল ইসলাম, আনন্দ বাজার প্রতিনিধি শিশির ইসলাম, দৈনিক ভোরের দর্পণ জেলা প্রতিনিধি হুমায়ুন রাশেদ, সিএনএফ টিভির চেয়ারম্যান খালেদ আহমেদ, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, নদীকর্মী মনোয়ারা পারভীন, নীল বিশ্বাস প্রমুখ। উল্লেখ্য, ইছামতি নদী পুনরুজ্জিবীতকরণ এই মেগা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা।