বর্তমান সময়ে খুবই কমন একটি রোগ হচ্ছে ডায়াবেটিস। যা কেবল বয়স্কদেরই হয় না, ছোট এবং প্রাপ্তবয়স্কদেরও হয়ে থাকে। এই রোগটি বংশগত হয়ে থাকে। এছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনও এই রোগ সৃষ্টির কারণ।
বিশ্বের প্রায় ৪২ কোটি ২০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এই রোগটিকে নীরব ঘাতকও বলা হয়ে থাকে। কেননা, ডায়াবেটিসের হাত ধরে অন্য আরও অনেক রোগ আসে। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের কোভিড হওয়ার আশঙ্কাও অন্যদের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি।
অবশ্য কিছু কিছু লক্ষণে ডায়াবেটিস ধরা পড়ার আগেই টের পাওয়া যায়। বিশেষ করে আপনার ত্বকও জানান দিতে পারে, আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে চলেছেন কিনা। তাই সেসব লক্ষণ দেখা মাত্রই সাবধান হওয়া জরুরি। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক সেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে-
ত্বকে সংক্রমণ
ডায়াবেটিসের আগে ত্বকে ঘন ঘন সংক্রমণ দেখা দেয়। যদি এমনটা হয় তবে ত্বকের পাশাপাশি গ্লুকোজ লেভেল নিয়েও চিন্তার কারণ আছে।
ত্বকের রং
নীরব ঘাতক ডায়াবেটিসের আরেক সরব লক্ষণ হলো ত্বকে অস্বাভাবিক সব পরিবর্তন। বিশেষ করে রং ও বিন্যাসে। ডায়াবেটিসের আগে ত্বকে দেখা যেতে পারে হলুদ, লাল ও বাদামি রঙের প্যাচ তথা ছোপ। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে নেক্রোবায়োসিস লিপোইডিকা। এতে করে ত্বকে ছোট ফুসকুড়ি উঠতে পারে। যা দেখতে অনেক ব্রণের মতো মনে হতে পারে। অনেক সময় ত্বক ফুলে চুলকানিও দেখা দিতে পারে।
ভেলেভেট ত্বক
গলার তলা, বগল, কটিসন্ধিতে স্পর্শ করলে ভেলভেট কাপড় ধরার মতো অনুভূতি হতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত ইনসুলিন ছড়িয়ে পড়ার কারণে এমনটা হতে পারে। এটিও প্রি-ডায়াবেটিকসের লক্ষণ।
ফোস্কা
বিভিন্ন অঙ্গে একগুচ্ছ কিংবা বড় আকারের স্বচ্ছ ফোস্কা দেখা দিতে পারে। যার ভেতর পানির মতো তরল দেখা যায়। এর আরেক নাম ডায়াবেকটিক বুলেই। এতে কোনো ব্যথা না হলেও এটি ডায়াবেটিসের বড় ধরনের লক্ষণ। আবার ডায়াবেটিক এ ফোস্কাগুলো দেখা যায় নিজে নিজেই সেরে যায়।
সারতে সময়
ডায়াবেটিসের কারণে ত্বকে রক্ত সঞ্চালের গতি কমে যায় ও স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার কারণে ত্বকের যে কোনো ক্ষত সারতে সময় বেশি লাগবে।
চোখে দাগ
ডায়াবেটিসের সাধারণ আরেকটি লক্ষণ হলো চোখের ভেতরে ও বাইরে হলুদ করে ছোপ দাগ দেখা দেওয়া। এ ধরনের আরেকটি নাম জানথেলাসমা। এর কারণেও একই ধরনের ছোপ দেখা দিতে পারে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।