নদী প্রকৃতির সম্পদ, একে নষ্ট করার অধিকার কারো নেই— সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

শেয়ার করুন

মুক্ত চেতনা ডেস্ক : বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও রিভারাইন পিপলস্ এর উদ্যোগে নীলফামারীর বুড়িখোড়া কলমদার নদীর পাড়ে আলোর বাজারে ‘‘চলো নদীর কথা শুনি” প্রতিপাদ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮’নভেম্বর) ২০২১ খ্রি. সকালে নদী সুরক্ষা বিষয়ক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

নদী সংলাপ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও সভাপতিত্ব করেন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় তিনি বলেন নদী প্রকৃতির সম্পদ, একে নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। তিনি আরও বলেন নীলফামারীর নদ-নদীর অবস্থা সম্পর্কে যতটা ভালো শুনেছিলাম, ততটা ভালো নয়। নদী পাড়ের মানুষের সাথে আলোচনা না করে কোন সরকারি প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না। জীবন জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি, জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও পরিবেশের ভারসাম্যতা রক্ষায় নদী সুরক্ষা খুবই দরকার। নদীর জীব বৈচিত্র এবং পরিবেশ এর ক্ষতি করে এমন প্রকল্প গ্রহন করা উচিত নয়। আমাদের কাছে যদি কোটি কোটি টাকা থাকে, আর নদী না থাকে, তবে আমরা কেউ বাঁচব না।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের আলোচনা করেন রিভারাইন পিপলস্ পরিচালক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ। তিনি বলেন নদী রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকের করণীয় আছে। কোথাও নদী দখল-দূষণ হলে স্থানীয়দের ভূমিকা রাখতে হবে। সেজন্য নদী রক্ষায় সোচ্চার ও সংগঠিত হওয়ার প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন ডোমার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম, বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নীলফামারী ও রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ, নীলফামারী জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আমিনুর রহমান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দেওনাই (হরিনচড়া-লক্ষীচাপ) নদী সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও নীলফামারী জেলা নদী সুরক্ষা কমিটির সমন্বয়ক আবদুল ওয়াদুদ। সার্বিক বিষয় সমন্বয় করেন বেলার উত্তরাঞ্চল সমন্বয়ক তন্ময় সান্যাল। নদী সংলাপে ৭টি নদী সুরক্ষা কমিটির সদস্যগণ অংশ নিয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠান শেষে (বেলা)’র প্রধান নির্বাহী এ্যাড. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বুড়িখোড়া কলমদার নদীসহ জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও পরিবেশের ভারসাম্যতা রক্ষায় সকল প্রকার আইনি সহায়তার আশ্বাস দেন। পরিবেশগত বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এবং তার সমস্যা সমাধানে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগসুত্র স্থাপন ও সম্মিলিত প্রয়াস নিশ্চিত করতে বেলা ১৯৯২ খ্রি. থেকে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *