পাবনা আতাইকুলায় স্ত্রী ও শশুড়-শাশুড়ীকে কুপিয়ে আহত

শেয়ার করুন

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা আতাইকুলা থানার মাধপুর গ্রামে যৌতুকের দাবীতে নব-বিবাহিত স্ত্রী ও শশুড়-শাশুড়ীকে অভিনব কায়দায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে এক বিজিবি সদস্য। বুধবার (২২’ সেপ্টেম্বর) রাত ১১ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। আহতদের অবস্থা আশংকাজন হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২১ জুলাই পারিবারিক ভাবে মাধপুর গ্রামের মজনু খাঁর মেয়ে বিথীকা খাতুনের সাথে সাঁথিয়া থানার দৌলতপুর গ্রামের ফজলুল হক খানের ছেলে বিজিবি সদস্য সজল খানের বিয়ে হয়। নতুন চাকুরীর কারণে বিবাহ রেজিষ্ট্রি না করে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে উপস্থিত উভয় পক্ষের অভিভাবক, স্বাক্ষী ও সজলের স্বাক্ষরে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের চুক্তিতে বিয়ে হয়। বিয়ের এক মাস পর সজলের দাবির প্রেক্ষিতে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে শশুড় মজনু খাঁ জামাইকে আরো ১ লক্ষ টাকা দেন। স্বামী সজল আরো যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী বিথীকাকে চাপ দিতে থাকেন। এরই এক পর্যায় বুধবার রাত ১০টার দিকে শশুড় বাড়ী আসার আগে সজল তার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে জানায় ‘তোমার ঘরের দরজা খোলা রেখো’। বিথী কারণ জানতে চাইলে সজল বলেন এটা সারপ্রাইজ মাত্র। হঠাৎ রাত ১১টার দিকে বাড়ির গেটের সামনে বিথী বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করেন। মেয়ের চিৎকার শুনে মা কমেলা খাতুন এগিয়ে গেলে সজল ধারালো অস্ত্র (ডেগার) দিয়ে মা-মেয়েকে এলোপাথারী কুপাতে থাকে। এ সময় বিথীর পিতা মজনু খাঁ এগিয়ে গেলে তাকেও কুিপয়ে আহত করা হয়। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে স্বামী সজল পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, রাতেই গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান হয়। এখনও মামলা হয়নি। তিনি আরো জানান, বিথীকার স্বামী সজল খান বিজিবির সদস্য। তার আইডি নং-৯৪, জিডি-১৬০২৬৯। সে ৫৯বিজিবি রহনপুর ব্যাটালিয়ানে কর্মরত। বিষয়টি মৌখিকভাবে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) কে জানানো হয়েছে। মামলা হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *