পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিছন্ন কর্মী জেল হাজতে থাকলেও অজ্ঞাত কারণে বিভাগীয় ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের একটি মামলার আসামী হয়ে আটক হয় পাবনার ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিছন্ন কর্মী কামরুন্নাহার কাঞ্চন। সে ৩ দিন পাবনা জেল হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্ত হলেও তার ছেলে শফিকুল ইসলাম সাগর এখনও জেল হাজতে আছে। ৩/৪দিন অফিস না করেও কি করে অফিস ম্যানেজ হলো সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ৫ বৎসর পুর্বে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার কলেজপাড়া গ্রামের মৃত মিলন হোসেনের ছেলে সাথে সদর উপজেলার মন্দিরপুর গ্রামের সানজিদা আকতার বৃষ্টির বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক ছেলে ও মেয়ে সন্তান রয়েছে। যৌতুকের দাবিকে বিভিন্ন সময় স্বামী এবং শ্বাশুড়ী মিলে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ ও ২৫ অক্টোবর স্বামী এবং শ্বাশুড়ী বৃষ্টিকে বেদম প্রহার করে। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। এ ব্যাপারে গত ২৬ অক্টোবর আটঘরিয়া থানায় মামলা হয়। মামলা নম্বর ৯০/ ২০২১। আটঘরিয়া থানা পুলিশ সাগর ও কাঞ্চন কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। কাঞ্চন ৩ দিন পাবনা জেল হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয় তার ছেলে শফিকুল ইসলাম সাগর এখনও জেল হাজতে আছে।
এ ব্যাপারে সানজিদা আকতার বৃষ্টি বলেন, যৌতুক নিয়ে বিয়ে করার কিছুদিন পরই আমার নেশাগ্রস্থ স্বামী আরো যৌতুকের দাবিতে করে ছেলের সাথে যোগ দেয় আমার শ্বাশুড়ী। স্বামী এবং শ্বাশুড়ী মিলে বিভিন্ন সময় আমার উপর নির্যাতন করছে। আমার দুটি শিশু বাচ্চা নিয়ে অসহায় হয়ে পরেছি। আমার শ্বাশুড়ী কাঞ্চনের বিরুদ্ধে সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রথমে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে পাবনা সিভিল সার্জন বরাবার আবেদন করছে।
ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক মীর জানান, কামরুজ্জামান কাঞ্চন ঐ সময় অফিসে আসার পর সে জানায় যে বাসায় আমার বেটার বৌ অসুস্থ্য সে কারণে বাড়ী যেতে হবে। সে বাড়ী যাওয়ার পর জানায় যে বেটার বৌ বেশী অসুস্থ হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে রেফার করা হয়েছে সে জন্য তাকে বেটার বৌর সাথে রাজশাহী যেতে হয়। এসব কথা বলে সে অফিসের বাইরে ছিল। সে যে জেল হাজতে ছিল সেটা আমার জানা নাই। থানা বা অন্যকোন মাধ্যম থেকে ও আমাকে জানানো হয় নাই। বিষয়টি জানলাম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।