নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনা জেলায় সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হিসাবে পরিচিত আতাইকুলা ও পাশ্ববর্তী অঞ্চল। যেখানে সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে ভ্যান, অটোবাইক চালকসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এই সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমেনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জালাল উদ্দিন। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন অসহায় এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের।
ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের আতাইকুলা, মাধপুর, বনগ্রাম, কুচিয়ামোড়া, পুস্পপাড়া ও গংগারামপুরসহ বিভিন্ন বাজারে গ্রামীন জনপদের অন্যতম প্রধান বাহন অটোভ্যান, আটোবাইক, সবুজ সিএনজি ও লেগুনা। বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মধ্যে পাবনা একটি কৃষি প্রধান জেলা। এর মধ্যে আতাইকুলা, সাঁথিয়া, সুজানগরসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসব বাহনে কৃষি পন্যসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে হাটে বাজারে আসেন সাধারণ মানুষ।
বেশ কিছু অসাধু চক্র রাজনৈতিক নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে গড়ে তোলে চাঁদাবাজী সিন্ডিকেটের দল। এই সমস্ত সেন্ডিকেটের লোকেরাই আতাইকুলা, মাধপুর, বনগ্রাম, পস্পুপাড়া, কুচিয়ামোড়াসহ বেশ কয়েকটি বাজারের বাস স্ট্যান্ড পয়েন্টে প্রতিদিনই ৩০/৩৫ হাজার টাকা প্রকাশ্য চাঁদাবাজি করত। ভ্যান অটোবাইক চালকরা টাকা দিতে দেরি করলে চাঁদাবাজরা লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে পেটাতো চালকদের এবং কেড়ে নোয়া হতো গাড়ির চাবি। গাড়ি দাঁড় করিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণে প্রতিনিয়তই ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হতো।
চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল আতাইকুলা থানায় মো. জালাল উদ্দিন অফিসার ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। যোগদানের কিছু দিনের মধ্যেই তিনি বিভিন্ন ধরনের পেশীশক্তি ও বাঁধার প্রাচীর ভেঙ্গে মানবিক পুলিশ হিসাবে চাঁদাবাজি বন্ধ করেন। আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়া চাঁদাবাজদের কপালে যেন আকাশ থেকে বাজ পরার মতো। চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া ভ্যান ও অটোবাইক চালকদের স্বস্তির নিঃশ্বাস প্রতিফলিত হয়। ভ্যান চালক লোকমান, মাহাতাব, সিদ্দিক, রাকিবসহ আরো অনেকেই বলেন, আতাইকুলা থানার ওসি স্যার অনেক ভালো মানুষ। তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আমাদের গাড়ীর সামনে এখন আর কেউ লাঠি নিয়ে আসতে পারে না। এমনকি টেকাও আর কেউ চাওয়ার সাহস পায় না। এর আগে চাঁদাবাজীদের হাতে আমরা কত মার খেয়েছি, কোন বিচার পায়নি।
আতাইকুলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বিটিভি’র পাবনা জেলা প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম (বাঁধন) বলেন আতাইকুলা থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. জালাল উদ্দিন খুবই ভাল মনের অধিকারী ও চৌকস অফিসার। তার যোগদানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে।
আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জালাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ সরকার আমার উপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন আমি তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক কারবারি, চোর, বাটপার, ইফটিজিংকারীদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আপনারা সন্ত্রাসী পথ পরিহার করুন, অন্যথায় কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।