পাবনার কৃতী সন্তান প্রফেসর ড. মো. শহীদুল্লাহ। তিনি পাবনা জেলার সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের হলুদবাড়িয়া গ্রামে ১৯৫৬ খ্রি. ১০ আগস্ট জন্মগ্রহন করেন। পিতা আবদুস সোবহান এবং মাতা জবা সোবহানের জৈষ্ঠ ছেলে।
প্রফেসর ড. মো. শহীদুল্লাহ স্কুল জীবন থেকেই অত্যান্ত মেধাবী ছিলেন। তিনি পাবনা জেলা স্কুল থেকে ১৯৭২ খ্রি. এসএসসি এবং সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা থেকে কয়েকটি বিষয়ে লেটার মার্কস নিয়ে ১৯৭৪ খ্রি. এইচএসসি পাস করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে ১৯৭৭ খ্রি. (অনুষ্ঠিত ১৯৭৯ খ্রি.) স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৭৮ খ্রি. (অনুষ্ঠিত ১৯৮১খ্রি.) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
মো. শহীদুল্লাহ ১৯৮২ খ্রি. পাবনা ক্যাডেট কলেজে ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক পদে চাকরিতে যোগদান করেন। এরপর তিনি ১৯৮৩ খ্রি. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক পদে চাকুরিতে যোগদান করেন।
তিনি ১৯৮৭ খ্রি. বৃত্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা লাভ করেন। এছাড়ও তিনি ১৯৯৩ খ্রি. ব্রিটিশ কাউন্সিলের বৃত্তি নিয়ে লন্ডনের টেমসভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৯৭ খ্রি. ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে ভারতের পুনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি শিক্ষাদান (ইএনটি) বিষয়ের ওপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার ধারাবাহিক সাফল্যে ২০০০ খ্রি. প্রফেসর পদে পদোন্নতি লাভ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান (২০০৭-২০১০খ্রি.), কলা অনুষদের সাবেক ডিন (২০১০-২০১২) খ্রি. এবং আইবিএস-এর সাবেক পরিচালক(২০১২-২০১৫)খ্রি.। কর্মজীবনে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে কিছুদিন চাকরি করেছিলেন।
১৯৯৯ খ্রি. প্রফেসর ড. মো. শহীদুল্লাহ পুনরায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের বৃত্তি নিয়ে ব্রিটেনের প্লিমাউথ শহরের Collage of St. Mark & St. Jones থেকে টেক্সট বুক লেখার ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ২০০৮-২০০৯ খ্রি. তিনি আমেরিকান ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলারস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
প্রফেসর ড. মো. শহীদুল্লাহ দেশে-বিদেশে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ মতামত উপস্থান করেন। তিনি ৩টি জনপ্রিয় বইয়ের রচয়িতা। তাঁর লেখা প্রায় শতাধিক গবেষণা-প্রবন্ধ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ব্যাক্তি জীবনেও তিনি একজন বিনয়ী, সদালাপী এবং গুণী শিক্ষক হিসেবে সকলের নিকট সমাদৃত।
লেখক : মহিউদ্দিন ভূঈয়া