নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে চাঞ্চল্যকর স্কুল শিক্ষার্থী (সিএনজি চালক) ইমন হোসেন(১৭) হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং হত্যার পরিকল্পনাকারীসহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে ১৬৪ ধারায় আদালতে শিকারক্তিমূলক জবানবন্ধির মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে চাটমোহর থানা চত্বরে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, চলতি মাসের বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে পাবনা চাটমোহরে মাঝগ্রাম এলাকার নিহত ইমন হোসেন নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী (সিএনজি) চালকে হত্যা করে দুস্কৃতিকারীরা। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ইমনের বাবা জাকিরুল ইসলাম বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় ছেলে নিখোঁজের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের দুইদিন পরে স্থানীয় দারাপপুর (ভাঙ্গা ব্রিজের) নিকট ডোবা থেকে ইমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই হত্যাকান্ডের অভিযোগের সূত্রধরে তদন্তকারী পুলিশের দল চাটমোহরের মান্নান নগরে যান। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারে ঘটনার দিনে ঐ সিএনজিতে চারজন যাত্রী বেশে উঠেছিলো। এরপর দুস্কৃতিকারীরা ইমনকে নির্জন স্থানে নিয়ে হত্যা করে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সূত্র ধরে এক হত্যাকারীকে সনাক্ত করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হলো, চাটমোহর মির্জাপুর এলাকার মো. শামসুল মন্ডলের ছেলে মো. নুরুজ্জামান মন্ডল(৩৪), মো. রবিউলের ছেলে মো. হৃদয়(১৯) মো. রোস্তম আলীর ছেলে মো. সেলিম (১৯), মো. রুহুল আমিনের ছেলে মো. হুমায়ুন কবির টুটুল ও রাকিবুল(১৯)। আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে শিকারক্তিমূলক জবানবন্ধি দেওয়ার পর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। চুরি যাওয়া (সিএনজি) পরিবহনটি পাশবর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানা এলাকাতে থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপর স্নিগ্ধ আখতার, মাসুদ আলম, সহকারী পুলিশ সপুার সজিব শাহরীন ও সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন। আগামী দিনে বিল অঞ্চলের সকল সড়কে রাত্রিকালীন পুলিশের টহল জোরদার করা হবে বলেও জানান জেলা পুলিশ।