ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এক বিধবা নারীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় স্বামীর বড় ভাই মন্টু ওরফে বেল্লাল (ভাসুর) কে মারধর করে জখম করেছে কুপ্রস্তাব কারি আ. মজিদ ও ফারুক। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের ময়দানদিঘী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত মন্টু ওরফে বেল্লাল ও ভুক্তভোগী নারী মঙ্গলবার ভাঙ্গুড়া থানায় পৃথক লিখিত অভিযোগ করেন।
সুত্রমতে জানা গেছে, উপজেলার ময়দানদিঘী গ্রামের ভুক্তভোগীর স্বামী রতনের মৃত্যুর পর থেকে তার স্ত্রীকে প্রায় দীর্ঘদিন যাবত উত্যক্ত করে আসছে বিধবার চাচাতো দেবর ফারুক (১৯) ও ননদ জামাই আ. মজিদ (৩৫)। ফারুক বিধবার চাচা শশুর মো. ফরহাদ আলীর ছেলে ও আ. মজিদ বিধবার চাচা শশুর তোরাপ আলীর ঘরজামাই ও আবুল হোসেনের ছেলে। সম্প্রতি বিধবার চাচা শশুরের ঘরজামাই আব্দুল মজিদ গভীর রাতে জানালার পাশে, টয়লেটের পাশে দাড়িয়ে থেকে বিভিন্ন বিরক্ত করে আসছিল আত্মসম্মানের ভয়ে ওই নারী বিষয়টি এতো দিন কাউকেই জানান নি। ঘটনার দিন রাতেও একই অবস্থা তৈরি করেন। পরদিন সকালে ঐ নারী তার চাচা শশুরকে জানালে ফারুক ও আ. মজিদ ক্ষিপ্ত হয়ে বিধবা ঐ নারীকে মারতে আসে এ সময় বিধবার ভাসুর প্রতিবাদ করলে ফারুক ও আ. মজিদ তাকে পিটিয়ে জখম করে। এলাকাবাসি তাদের চিৎকারে ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার গালে একাধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ. মজিদ বিধবা নারীর গভীর রাতে মোবাইলে ফোন দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে ফারুক হোসেন পালাতক রয়েছে।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।