পাবনায় দুই স্কুল শিক্ষকের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও প্রকাশের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

শেয়ার করুন

সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনা সুজানগর উপজেলার ৩২ নং উদয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই স্কুল শিক্ষকের পরকিয়া প্রেমের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও প্রকাশে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। শিক্ষকদের এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পরায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে ব্যপক ক্ষেভের সৃষ্টি হয়।

বুধবার (২২’সেপ্টম্বর) দুপুরে দুই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উদয়পুর স্কুলের সামনে ঘন্টাব্যাপী প্রতিবাদ মানববন্ধন করেছে স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উদয়পুর ৩নং ইউপি সদস্য মো. মেছের মন্ডল, মো. ফজলু প্রামাণিকসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি।

মানবন্ধনে বক্তরা বলেন, এই বিদ্যালয়ের দুইজন সম্মানিত শিক্ষক আনোয়ার সাদাত মিল্টন ও নারী শিক্ষিক রোজিনা খাতুন রোজির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছে। তারা ক্লাস কক্ষের মধ্যেও নানা ধরনের অসামাজিক কাজকর্মে লিপ্ত থাকেন। যার প্রভাবে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাদের অপকর্মের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। দুই শিক্ষকের এমন অসামাজিক কার্যকলাপে কমলমতি শিক্ষার্থীদের বিরুপ মনোভাবের সৃষ্টি হবে। কাজেই তাদের দ্রæত স্কুল থেকে অপসরণ করে স্কুলে স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আনার জোরালো দাবি জানান।

অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ার সাদাত মিল্টন এ বিষয়ে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক। আমাকে স্কুল থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য একটি পক্ষ আমার সাথে স্কুলের অন্য নারী শিক্ষিককে জড়িয়ে এই অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করছে। এই ধরনের অনৈতিক কাজের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক পূরববী রানী চৌধুরী বলেন, ঘটনা সত্য মিথ্যা আমরা কিছু জানিনা। স্থানীয়রা আমাদের কাছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। অপকর্ম আর অনৈক কার্যকলাপের বিভিন্ন তথ্য প্রমান তারা দেখাচ্ছে। এ বিষয়টি ইতিমধ্যে আমরা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমরা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিব।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল জব্বার বলেন, এই স্কুলের দুইজন শিক্ষকের পরকিয়ার বিষয়ে আমার কাছে মৌখিক ভাবে স্থানীয়রা ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছিলেন। এখন বিষয়টি অনেক বড় আকার ধারন করেছে। এলাকাবাসী ও অভিভাবকেরা বিক্ষোভ মানববন্ধন করছে। এটি সত্যিই শিক্ষকদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর বিষয়। অভিভাবকেরা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমি বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্যারকে অবগত করেছি। অভিভাবেকেরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *