শহর প্রতিনিধি : পাবনায় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক অবৈধ যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরির কারখানায় অভিযান করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ দল। ৩০ মার্চ (বুধবার) রাতে জেলা সদরের ভাড়ারা ইউনিয়নের নলদাহ বাজার এলাকায় হ্যাপি ফুড এন্ড বেভারেজ ও ব্রাদার্স ফুড এন্ড ক্যামিকেল নামে যৌথ নামীয় এই প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাওসার আহম্মেদ এই অভিযানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করনে। এ সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ১ লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানাসহ বিপুল পরিমানে যৌন উত্তেজক সিরাপ, নকল স্যালাইন, সিভিট, টেস্টি স্যালাইনসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী জব্দ করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রোকনুজ্জামান অভিযানের বিষয়ে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মো. মহিবুল ইসলাম খানের নির্দেশে এই নকল যৌন উত্তেজক ঔষুধ তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে এর আগেও অভিযান করে তাদের আর্থিক জরিমানা করা হয়েছিলো। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে গোপনে আবারো তারা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন প্রকারের যৌন উত্তেজন সিরাপ ও নকল স্যালাইনসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিলো। এই তথ্যের ভিত্তিতে রাতেই আমরা সেখানে অভিযান করি। অভিযানের সময় সেখানে মালামাল প্রস্তুতকালে হাতেনাতে তাদেরকে ধরা হয়। এই অবৈধ প্রতিষ্ঠানটি জেলা সদরের স্বপন বসাকের ছেলে সৌহার্দ্য বসাক সুমন ও শেখ আকবর আলীর ছেলে শেখ অব্দুল্লাহ আল মামুনের যৌথ নামীয় প্রতিষ্ঠান বলে জানা গেছে। তবে মালিক পক্ষের কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি। নকল মালামাল তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠানেকে আর্থিক জরিমানা, কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। একই সাথে জব্দকৃত মালামাল পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। ল্যাব টেস্টে পরে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নকল কারখানা পরিচালনাকারীরা হলেন, পৌর এলাকার শালগাড়িয়া মহল্লার মৃত শেখ সুবহানের ছেলে মো বাবু, চকপৈলানপুর মহল্লার মো. গোলাম মোস্তফার ছেলে মো. মাসুদ রানা নাজরিপুর এলাকার মো. রয়েস সরদারের ছেলে মো ফরিদুল ইসলাম ফরিদ। পাবনাকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করার জন্য এটি আমাদের নিয়মিত অভিযান বলে জানান তিনি।
অভিযানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আতাউর রহমান খন্দকার, ইন্সপেক্টর মো. জিন্নাত সরকার, অসিত কুমার বসাক, সাবইন্সপেক্টর সাগর কুমারসাহাসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক সদস্য অংশ গ্রহণ করেন।