পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পাবনা-ঢাকা মহসড়কের কাশিনাথপুর বাসের সাথে নছিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নছিমন চালক ও হেলপার নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৫ জন। নিহতরা হলো সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের সামান্য পাড়া গ্রামের নছিমনের চালক তাজু মৃর্ধার ছেলে জুয়েল মৃর্ধা (২৪) ও একই গ্রামের সোবাহান খানের ছেলে নছিমনের হেলপার সুরুজ খান (২০)। তারা সম্পর্কে একে অপরের চাচাতো ভাই।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২ মে-২০২৩ খ্রি.) সকাল ১১ টার দিকে পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে ইট বহনকারী একটি ট্রলি(নছিমন) কাশিনাথপুর থেকে সাঁথিয়ার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় উপজেলার সাটিয়াখোলা নামক স্থানে ঢাকাগামী যাত্রীবাহি বাস শাহজাদপুর ট্রাভেলসের সাথে কাশিনাথপুর রেলক্রসিং হওয়ার পর ট্রলির (নছিমন) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় ও পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে কাশিনাথপু একটি বে-সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের অবস্থার অবনতি হলে পাবনা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে মাধপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে। ময়না তদন্ত শেষে নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পাবনা সদরের পুষ্পপাড়ায় দুপুর ১২টার দিকে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাস চাপায় পাবনা ইসলামিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণির মিতু খাতুন (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। সে আতাইকুলা থানার পুষ্পপাড়া গ্রামের মৃত মিলন হোসেনের মেয়ে। 
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা এ বিষয়ে জানান, বেলা ১২ টার দিকে পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের পুষ্পপাড়া বাজারে রাস্তা পার হওয়ার সময় কলেজ ছাত্রী মিতু ওমর ট্রাভেলস নামের একটি বাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
