স্টাফ রিপোর্টার : পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর চাঞ্চল্যকর সাইদার হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছেন জেলা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রি. আনুমানিক দুপুর ১ টায় দিকে পাবনা সদর উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের মৃত হারান মালিথা’র ছেলে পৌর আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য ও আলোচিত ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান ওরফে সায়দার মালিথা(৫৫) কে প্রকাশ্যে দিবালোকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে চর বাঙ্গাবাড়িয়া বাঁধের চার রাস্তার মোড়ে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনায় পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যাহার মামলা নং-২০ তারিখ-০৯/০৯/২০২২ খ্রি.। এ ঘটনায় পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রোকনুজ্জামান এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযানে নামে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কক্সবাজার, ঢাকা, সিরাজগঞ্জ এবং পাবনা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৬ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো পাবনা সদর থানার গাফুরিয়াবাদ গ্রামের মো. আশরাফ উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার আহম্মেদ স্বপন (৪২), একই থানার চক ছাতিয়ানি গ্রামের মৃত কালাম মালিথা’র ছেলে মোহাম্মদ আশিক মালিথা (২৮), কাশিপুর গ্রামের মো. শাজাহান খানের ছেলে মো. রিপন খান (২৭), শহরের গোপালপুর মহল্লার মাটি সড়ক এলাকার মো. আকবর হোসেনের ছেলে মো. নুরুজ্জামান রাকিব (২৪), একই এলাকার মো. রমজান আলী’র ছেলে মো. ইয়াসিন আরাফাত ইস্তি (২৬), হেমায়েতপুর চক ছাতিয়ানি গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিম মালিথা’র ছেলে মোহাম্মদ আলিফ মালিথা (২২)।
এ সময় গ্রেফতারকৃতদের নিকট থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি বিদেশী পিস্তল, ৩ রাউন্ড তাজা গুলি, ০২ রাউন্ড ফায়ারকৃত কার্তুজ, একটি বার্মিজ টিপ চাকু, ৩টি মোটরসাইকেল ৫টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১নং আসামী আনোয়ার আহম্মেদ স্বপনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হত্যা ও হত্যার চেষ্টাসহ ৮ টি মামলা রয়েছে। আসামী মোহাম্মদ আশিক মালিথা’র বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যা চেষ্টা, চুরি, মাদক সহ ৭ টি মামলা, নুরুজ্জামান রাকিব বিরুদ্ধে মারামারি, হত্যা চেষ্টা, চুরিসহ ৫টি মামলা ও মোহাম্মদ আলিফ মালিথা’র বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যা চেষ্টাসহ ৩টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের নিকট হত্যাকান্ডের ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করে জবানন্দী দেয়, হেমায়েতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথা চেয়ারম্যান থাকা কালে তার চাচাতো ভাই সাইদার মালিথা সহ তার লোকজনদের অনুমানিক ৬০/৭০ বিঘা সম্পত্তি জোর পূর্বক ভোগ দখল নিয়ে বিরোধ চলছিল। এলাকায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে জানা যায়।