পাবনায় ৭ ধাপ অতিক্রমের পর লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত পুলিশ সদস্য

শেয়ার করুন

পাবনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম বলেছেন, তিনদিনের কঠোর পরিশ্রমে কাঠফাটা রোদে পুড়ে শারীরিক সক্ষমতার সাতটি ধাপের পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে টিআরসি নিয়োগ লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত হয়েছে। গত বছর চালু হওয়া নতুন পদ্ধতিতে সৎ , দক্ষ ও মেধাবী পুলিশ সদস্য খুঁজে বের করাই আমাদের উদ্দেশ্য।

এক শ্রেনীর অসাধু দালাল দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছেলেদের টার্গেট করে চাকরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে তাদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে বলে আমাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে। এ সংক্রান্তে দালালের সাথে যোগাযোগের প্রমান পাওয়ায় একজন পরীক্ষার্থীকে আজ অযোগ্য ঘোষনা করা হয়েছে। দালালকে আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান চলছে।

যারা তিনদিনের পরিশ্রমে এতদূর এসেছো মনে রেখো তোমার মেধা ও চেষ্টাই সম্ভব করবে বাকিটুকু। বিশ্বাস রাখতে হবে নিজের উপর আর জেলা পুলিশ পাবনার নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার উপর। লিখিত পরীক্ষায় ভাল ফলাফকারী মেধাবীরাই সাফল্যের শেষ হাসি হাসবে।

সর্বাধুনিক এই নিয়োগ পদ্ধতিতে পুলিশ সুপার বা অন্য কোন সদস্যের কাউকে সহায়তা করার সুযোগ নেই। অযথা প্রতারিত হবেন না। কেউ যদি টাকা পয়সা বা অন্য কিছুর বিনিময়ে চাকুরীর আশ্বাস দেয় তবে আপনি নিশ্চিত থাকুন সে প্রতারক। প্রতারককে পুলিশে সোপর্দ করুন।

পুলিশের উর্দ্বতন অনেক কর্মকর্তার সাথে অনেকের পরিচয় বা আত্মীয়তা থাকতেই পারে। তারা আপনার সামনে থেকে তাদের ফোন করে কুশল বিনিময় করে আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। বিভ্রান্ত হবেন না। আপনি পরীক্ষায় না টিকলে পুলিশ বা অন্য বিভাগের কোন কর্তাব্যক্তির কোন ক্ষমতায় নাই আপনাকে চাকুরী দেবার। যদি কেউ আশ্বাস দিয়ে থাকে তবে আপনি নিশ্চিত থাকুন সে ভন্ড, প্রতারক।

তৃতীয় দিনের ফলাফল অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত সংখ্যা হলো, সাধারন পুরুষ ৫৭৪জন, মুক্তিযোদ্ধা ( পুরুষ) ৩৩ জন, পুলিশ পোষ্য -৪৪জন, আনসার-০৩ জন, সাধারন কোটা (নারী)-৪৭ জন, মুক্তিযোদ্ধা (নারী)- ০৩ জন। এই নিশে মোট ৭০৫ জন নির্বাচিত হয়।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *