পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের সেকশন অফিসার গ্রেড-২ এর শেখ মাহমুদ কাননের আপগ্রেডেশন বোর্ড গঠনে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে রেজিস্টার দপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
সূত্রেমতে জানা গেছে, আপগ্রেডেশন বঞ্চিত ওই সেকশন অফিসার দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়টির বিধি মোতাবেক কর্ম করে আসলেও রেজিস্টার দপ্তরের অতিরিক্ত রেজিস্টার শাওলি শারমিন, উপ-রেজিস্টার মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, সহকারি রেজিস্টার মো. আসাদুজ্জামান ও ছাত্র কল্যাণ কর্মকর্তা ফারজানা ববির স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ২টি ঈদ, বৈশাখী ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদনসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী পদোন্নতি পেলেও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আগের নিয়মেই চলছে। এ বিষয়ে আপগ্রেডেশন বোর্ড গঠনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বেশ কয়েকবার আবেদন জমা দেওয়া হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এ বৈষম্য দূরীকরণে এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরী পদক্ষেপে নেয়া হয়নি।
আপগ্রেডেশন বোর্ড গঠনে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্টার দপ্তরের অতিরিক্ত রেজিস্টার শাওলি শারমিন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাদের চার জনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তারা কেউ আপগ্রেডেশন আটকিয়ে রাখেননি। যে সময় শেখ মাহমুদ কানন আবেদন করেন, তার আগেই একটি আপগ্রেডেশন বোর্ড হয়েছিল। আবেদনের পরেও একটি বিশেষ রিজেনবোর্ড হয়েছে, তবে সেটি দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের জন্য।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বিজন কুমার ব্রহ্ম এ বিষয়ে জানান, আপগ্রেডেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া, বেশ কয়েকটি আবেদন একসাথে জমা হলে তখন কর্তৃপক্ষ চিন্তা করেন বোর্ড করা যেতে পারে। মি. কানন সাহেব একটি আবেদন করেছেন, পরবর্তীতে আরও আবেদন পড়লে বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবেন।
সুবিধাবঞ্চিত সেকশন অফিসার শেখ মাহমুদ কানন আবগ্রেডেশন বোর্ড গঠনে স্বজন প্রীতি বন্ধ, যথাযথ নিয়মে শান্তি বিনোদন ভাতাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তি এবং বাধা প্রধানকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং উপাচার্যের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।