স্টাফ রিপোর্টার : পাবনা গোয়েন্দা পুলিশ ও সাঁথিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৮ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা, গাজিপুর, মানিকগঞ্জ এবং পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩ দিন ব্যাপী অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত হলো-পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে শাকিল হোসেন যদু (২৩), একই উপজেলার কাজীপুর এলাকার আবু মুসার ছেলে সিয়াম হোসেন (১৯), গোপীনাথপুর দক্ষিনপাড়া গ্রামের আনছার আলীর ছেলে আরিফ প্রামানিক (২৮), একই গ্রামের রহিম মোল্লার ছেলে সুজন মোল্লা (৩৫), আফতার নগর ছেচানিয়া গ্রামের মৃত কুদ্দুসের ছেলে আ. বাতেন (২৮), সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার শেলাচাপড়ী গ্রামের মৃত আ. দুলালের ছেলে আ. মতিন (৪০), সাঁথিয়া উপজেলার গোপীনাথপুর দক্ষিনপাড়া গ্রামের মো. ইউনুস প্রামাণিকের ছেলে সানোয়ার হোসেন সানু (২৭), সাঁথিয়া উপজেলার গোপীনাথপুর দক্ষিনপাড়া গ্রামের হাফেজ মোল্লার ছেলে সাব্বির দুখু (২২)।
এ সময় গ্রেফতারকৃদের কাছ থেকে নগদ ৬৯ হাজার টাকা, ডাকাতি হওয়া ভিকটিমের ব্যবহৃত একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন, ৩ টি ককটেল, একটি সেলাই রেঞ্জ, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ৫ টি-শার্ট এবং প্যান্ট, ব্যবহৃত ৮ টি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
পাবনার পুলিশ সুপার মোঃ আঃ আহাদ (বিপিএম) মঙ্গলবার (১৬ জুলাই ২০২৪ খ্রি.) বেলা ১১ টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ১০ জুলাই রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ টায় পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার গোপীনাথপুরে ভুক্তভোগী আতিকুর রহমান জুয়েল (৩৫) এর শয়ন কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ১৪/১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল প্রবেশ করে। একজন ডাকাত তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভুক্তভোগী জুয়েলের ডান হাতের কবজির উপরে ও পেটের ডান পার্শ্বে আঘাত করে জখম করে। ঐ অবস্থায় রশি দিয়ে তাকে এবং তার স্ত্রীর হাত পা বেধে জিম্মি করে ঘরে থাকা কাঠের শোকেজ এর তালা ভাঙ্গে ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা সহ ২টি মোবাইল ফোন ডাকাতি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাঁথিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়, মামলা নং-১০ তারিখ-১০/০৭/২০২৪ খ্রি.।
মামলা সুত্রে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদন্নতিপ্রাপ্ত) মো. মাসুদ আলমের তত্ত্বাবধানে ও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ওসি) মোঃ এমরান মাহমুদ তুহিন এবং সাঁথিয়া থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযানে নামে। তথ্য প্রযুক্তি এবং বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে ডাকাত চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
শনাক্তকৃতদের ঢাকা, গাজিপুর, মানিকগঞ্জ এবং পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩ দিন ব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের মূল হোতা এবং পরিকল্পনাকারী শাকিল যদুসহ ৮ জন ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্যকে ডাকাতি করা মালামাল সহ আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, খুন, দস্যুতা সহ একাধিক মামলা রয়েছে। এদের মধ্যে আসামী শাকিল যদু এবং বাতেনের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া থানায় ১২ টি ওয়ারেন্ট অনিস্পন্ন অবস্থায় ছিল। গ্রেফতারকৃত আসামিদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়। এছাড়াও ডাকাতির ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত আরো ৩ জন পলাতক আসামিদের যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ চেকপোস্ট পরিচালনাকালে ১৪ জুলাই রবিবার গ্রেফতার করে।