বিশেষ প্রতিনিধি : ভোলায় মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকারে নেমে কাঙ্খিত ইলিশ পাচ্ছেনা জেলেরা। সবেমাত্র শেষ হলো ইলিশ ধরার দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা। এরপর মাছ ধরতে গিয়ে না পেয়ে চরম হতাশা ও অভাব অনটনের মধ্যে দিন কাটছে জেলেদের। নদীতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে অনেক জেলে। গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল-২০২৩ খ্রি. পর্যন্ত ২ মাস ইলিশের অভয়াশ্রম ভোলার ইলিশা থেকে চরপিয়ালের ৯০ কিলোমিটার, ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম ১০০ কিলোমিটার তেঁতুলিয়া নদীতে সব ধরনের মাছ স্বীকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য বিভাগ।
নিষেধাজ্ঞা শেষে ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নদীতে মাছ ধরতে নামে জেলেরা। কিন্তু নদীতে যে মাছ পায় তা বিক্রি করে তেল খরচই উঠছে না।
ভোলার তুলাতুলি ও ভোলার খাল মাছঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শুনশান নীরবতা মাছ ঘাট গুলোতে। অনেকটা অলস সময় পার করছেন মৎসজীবিরা।
তুলাতুলি এলাকার জেলে মুছা মাঝি বলেন, ৬ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে নদীতে গেছি ইলিশ মাছ ধরতে। নদীতে ২ বার জাল ফেলে ১ হাজার ৯ শ’ টাকার মাছ পাইছি। তেলের টাকা দিয়ে ভাগে ২শ’ টাকা করে পরছে। কিভাবে কি করবো বুঝতেছিনা? তার মতো একই অবস্থা ভোলার বেশিরভাগ জেলের।
তুলাতুলির অপর জেলে আবু বলেন, এনজিও থেকে লোন নিয়ে জাল আর নৌকা বানিয়েছি। এখন নদীতে গিয়ে আশানুরূপ মাছ পাইনা, এনজিওর কিস্তি দিবো কিভাবে ?
তুলাতুলি মাছঘাটের আড়ৎদার মো: মঞ্জু বলেন, ঢাকা, যশোর, খুলনার মোকাম থেকে দাদন এনে জেলেদের দিয়েছি, জেলেরা নদীতে মাছ আশানুরূপ মাছ পাচ্ছেনা, আমরাও মোকামে মাছ সরবরাহ করতে পারছিনা। মোকামের খুব চাপে আছি।
ইলিশ সম্পদসহ মাছের অভয়াশ্রমে ২ মাসের অভিযান শতভাগ সফল হয়েছে বলে দাবি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহর। এতে মাছের উৎপাদন বাড়বে। নদীতে পর্যাপ্ত বৃস্টিপাত না হওয়া মাছ কম হওয়ার কারণ। জুনের দিকে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ প্রচুর পরিমানে ধরা পড়বে বলেও আশাবাদী তিনি।