সফল অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার জমিদার রহমান; শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানে বিভিন্ন এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ পাবনা’র অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মো. জমিদার রহমানের মেধা, মননশীলতা, দক্ষতা এবং বিচক্ষণতায় শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন সময়ে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা থেকে বিভিন্ন এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করায় একজন সফল অধ্যক্ষ হিসেবে সমাদৃত হয়েছেন।
সফল অধ্যক্ষ ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ “বাংলাদেশ জাতীয় ব্যক্তিত্ব স্মৃতি পরিষদ” এর উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ার মো. জমিদার রহমান কে “আবু হোসেন সরকার স্মৃতি সম্মাননা-২০২১” প্রদান করা হয়।

এছাড়াও শিক্ষা বিস্তার ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ খ্রি. (১৫’সেপ্টেম্বর) “সোনার বাংলা স্মৃতি ফাউন্ডেশন” এর উদ্যোগে তাঁকে “স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি সম্মাননা-২০২১ প্রদান করা হয়।

২০২১ খ্রি. (২৮’ আগস্ট) “সাউথ এশিয়া সোস্যাল এডুকেশন ফাউন্ডেশন” এর উদ্যোগে তাঁকে “ ফিদেল কাস্ত্রো শাইনিং পার্সোনালিটি এ্যাওয়ার্ড-২০২১ প্রদান করা হয়।

মহীয়সী নারী মাদার তেরেসার ১১১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ২০২১ খ্রি. (০৫’সেপ্টেম্বর) “ মায়ের আঁচল ফাউন্ডেশন” এর উদ্যোগে “ মাদার তেরেসা স্মৃতি সম্মাননা-২০২১ প্রদান করা হয়।

শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ইঞ্জিনিয়ার মো. জমিদার রহমান কে ২০২১ খ্রি. (১৪’ জুন) “জার্নালিস্ট সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটস্” এর উদ্যোগে “বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২১” প্রদান করা হয়।

স্বাধীনতার (৫০বছর) সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ২০২১ খ্রি. (২০’ মার্চ) স্বাধীনতা স্মৃতি পরিষদ এর উদ্যোগে তাঁকে “স্বাধীনতা স্মৃতি এ্যাওয়ার্ড-২০২১” প্রদান করা হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ খ্রি. (০৯’ অক্টোবর) তাঁকে “ শেরে-বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদ” এর উদ্যোগে “মুজিববর্ষ সম্মাননা স্মারক-২০২০” প্রদান করা হয়।

২০২১ খ্রি. (২৩’ জানুয়ারি) “জার্নালিস্ট সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটস্” এর উদ্যোগে তাঁকে “মাদার তেরেসা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২১” প্রদান করা হয়। ২০২১ খ্রি. (১৫’ জানুয়ারি) তাঁকে “ বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন” এর উদ্যোগে “ বিচারপতি এস এম মোরশেদ স্মৃতি গোল্ডেন মেডেল-২০২০” প্রদান করা হয়।

২০২০ খ্রি. (১১’ ডিসেম্বর) “ এশিয়া হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশন” এর উদ্যোগে তাঁকে “ হিউম্যান রাইটস্ পিস এ্যাওয়ার্ড-২০২০” প্রদান করা হয়। ২০২০ খ্রি. (২৯’ ফেব্রুয়ারি) তাঁকে “ অনন্যা সোস্যাল ফাউন্ডেশন” এর উদ্যোগে “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্মাননা -২০২০” প্রদান করা হয়।

টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ পাবনা’র অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মো. জমিদার রহমান এর নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, মুজিব জন্মশতবর্ষ, ২৬ মার্চ মহান জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনে আলোকসজ্জা ও অনুষ্ঠানসমূহ জাকজমকপূর্ণভাবে উদ্যাপনে জেলায় প্রথম স্থানের গৌরব অর্জন করে। অনুষ্ঠানসমূহে আহবায়কের দ্বায়িত্বে ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ইন্সট্রাক্টর (বাংলা) মো. আলী আকবর মিঞা।

২০১৯ খ্রি. “বাংলা নববর্ষ-১৪২৬” উদ্যাপন উপলক্ষে পাবনা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ বর্ণিল সাজে সজ্জিত এক বিশাল র‌্যালী অনুষ্ঠিত হলে জেলা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি শ্রেষ্ঠত্বের গৌরব অর্জন করে। অনুষ্ঠানটিতে আহবায়কের দ্বায়িত্বে ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ইন্সট্রাক্টর (বাংলা) মো. আলী আকবর মিঞা।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য “জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৫” উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জমিদার রহমান-এঁর নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান (কারিগরি) হিসেবে নির্বাচিত হয় এবং “জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৭” উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় তিনি জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান (কারিগরি) হিসেবে নির্বাচিত হন। “জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯” উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় তাঁর নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম ও পাবনা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ বিভাগীয় পর্যায়ে পর পর ০৩ বার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান (কারিগরি) হিসেবে নির্বাচিত হয় এবং “জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৮ ও ২০১৯” উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মো. জমিদার রহমান বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান (কারিগরি) হিসেবে নির্বাচিত হন।

১৮৮৯ খ্রি. প্রতিষ্ঠিত হওয়া পাবনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে বর্তমানে স্থাপন করা হয়েছে তথ্য কেন্দ্র, ডিজিটাল ল্যাব, আন্তঃবিভাগ ইন্টারকম, ব্রডব্যান্ড ও ওয়াইফাই ক্যাম্পাস, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য সম্মত পানির ব্যবস্থা, দুর দুরান্তের শিক্ষার্থীদের জন্য সাইকেল গ্যারেজ, প্রতিটি বিভাগে (১০) টি স্থায়ীভাবে ডাষ্টবিন। পুরো ক্যাম্পাস সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত ঘোষণা করে সিসি ক্যামেরার আওতায় এনে ফলজ, বনজ ও ঔষধী বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে শোভা বর্ধন করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে রয়েছে চালু করা হয় ২০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ ইন্টারনেট সংযোগ, আধুনিক কলেজ লাইব্রেরী এবং আধুনিক বিজ্ঞান ল্যাব। ক্লাস চলা কালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের অনুশীলণে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সে জন্য পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে রয়েছে জেনারেটর সুবিধা। স্কাউট রোভার স্কাউট’র চর্চা কার্যক্রমও চলে নিয়মিত। ক্যাম্পাস’র সামনের দেয়ালে (গেটে) ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর তথ্য সম্বলিত আলোকচিত্র অংকন করা হয়। রাত্রী কালীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসটিতে সার্বক্ষণিক আলোক ব্যবস্থা বিদ্যমান। কলেজের মুল পুরণো সৌন্দর্যমন্ডিত আকর্ষনীয় ভবনটি প্রত্নতাত্বিক অধিদপ্তরের তালিকাতেও স্থান পেয়েছে।

শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণের আন্তরিক সুদৃষ্টির সুবাদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তিনি আলোকিত ক্যাম্পাস এবং রোল মডেল হিসাবে গড়ে তুলেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দিনের বেলায় বিদ্যার আলো ছড়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে এবং রাতের বেলায় হরেক রংয়ের বৈদ্যুতিক বাতির চমকে আলোকিত হয়ে শোভা বর্ধন করে। শুধু তাই নয়, রাতের বেলায় স্থানীয়রা ছুটে আসেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে ফোঁটা বাহারী পূষ্পের ঘ্রাণে হৃদয় জুড়াতে।

সবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এ্যাড. শামছুল হক টুকু এমপি, পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা-সিরাজগঞ্জ সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমীন জলি, পাবনার সাবেক জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন, কবীর মাহমুদ, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রেজাউল রহিম লাল, পাবনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম, পৌর মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ প্রমুখ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে মুগ্ধ হন এবং ক্যাম্পাস চত্বরে বৃক্ষরোপন করেন।

ইঞ্জিনিয়ার মো. জমিদার রহমান রংপুর জেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর বর্ণাঢ্য পারিবারিক জীবনেও তিনি সফল ও সার্থক। বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মো. নাজমুস সাকিব ৩৮তম বিসিএস ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে ফরিদপুর জেলায় গণপূর্ত অধিদপ্তরে সহকারি প্রকৌশলী হিসাবে চাকরি করেন। ছোট ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মো. সাইয়েদুস সিফাত বর্তমানে আমেরিকায় ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স এ পিএইচডি তে অধ্যায়নরত এবং সবচেয়ে কনিষ্ঠ মেয়ে জাহিন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে অধ্যয়ণরত। যেভাবে তিনি তাঁর সন্তাদের মায়া মমতায় সুশিক্ষায় মানুষের মত মানুষ করেছেন। তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকেও তিনি পরম মমতা ও যত্নে আধুনিক সুযোগ সুবিধায় আলোকিত করেছেন। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনে ২০০১ খ্রি. তিনি বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব টেকনোলজী (বি আই টি) রাজশাহীতে (বর্তমান রুয়েট, RUET) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সহকারি অধ্যাপক (উন্নয়ন) পদে চাকুরিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর ১৯৯৪ খ্রি. তিনি ডুয়েট (DUET) থেকে বিএসসি ইঞ্জিয়ারিং এ সম্মানসহ স্ট্যান্ড করেন। তারপর ২০০৪ খ্রি. পঞ্চগড় জেলার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যক্ষ হিসাবে চাকুরিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ২০০৫ খ্রি. তিনি কুড়িগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে যোগদান করে প্রতিষ্ঠানকে কারিগরি পর্যায়ে সেরা বিদ্যাপীঠ হিসাবে গড়ে তোলেন। সর্বশেষ তিনি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ পাবনার অধ্যক্ষ হিসেবে চাকুরিতে যোগদান করেন। চাকুরি জীবনের শেষ দিনটিও তিনি তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্মানের সাথে পালন করতে পারেন সেজন্য মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট শুকরিয়া আদায় করে সকলের সুদৃষ্টি ও ভালবাসা প্রত্যাশা করেছেন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *