সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনায় সুজানগর উপজেলার সরকারি ডাঃ জহুরুল কামাল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। অধ্যক্ষ কলেজে উপস্থিত না থাকায় প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম, অভ্যন্তরিন, ইনকোর্স এবং পাবলিক পরীক্ষা, ফরম পূরণ, রেজিষ্ট্রেশন, শিক্ষার্থীদের প্রত্যয়ন ও সার্টিফিকেট দিতে পারছেন না কলেজটির কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক ও পাবনা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট-২০২৪ খ্রি. হতে কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ বিনা ছুটিতে অজ অবধি কলেজে অনুপস্থিত। কোন শিক্ষকের উপর দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়নি, কিন্তু বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন আগের মতই।
সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ খ্রি. প্রতিষ্ঠিত কলেজটি এমপিও ভুক্ত হয় ১৯৯৫ খ্রি.। ২০১৮ খ্রি. ৮ আগস্ট কলেজটি জাতীয়করণ হয়। কলেজটিতে বর্তমানে ৩ হাজার ৫’শ শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত এবং ৭০ জন শিক্ষকসহ সর্বমোট ৭৮ শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত।
কলেজের প্রদর্শক আব্দুর রহিম এ বিষয়ে জানান, বিগত আওয়ামীলীগের শাসনামলে প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ কলেজের আর্থিক অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি এবং শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচারণ করায় গত সৈরাচারি সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে গেছেন। ছুটি না নিয়ে তিনি কলেজে অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। কলেজটির শিক্ষার্থীরা জানান, অধ্যক্ষ স্যার না থাকায় ফরম পূরণ, রেজিষ্ট্রেশন, প্রত্যয়ন ও সার্টিফিকেট পাওয়ায় ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে।
অভিযোগ বিষয়ে অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ মুঠোফোনে জানান, শারীরিক অসুস্থতায় ছুটির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবর তিনি একটি আবেদন করেছেন।
পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম এ বিষয়ে জানান, কলেজটির অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ায় আমরা তদন্তকাজ শেষ করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুতই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হবে।