স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি বলেছেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাশ পেয়েছি, দেশ দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, এখন আর পিছিয়ে যাবার কোন সুযোগ নেই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ঐতিহবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের যোগ্য করে গড়ে উঠতে হবে। মাদক প্রভাব থেকে যুব সমাজ কে রক্ষা করতে হবে। দেশ গঠনে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। মার্চ মাস আন্দোলন সংগ্রামের মাস। এ মাসেই বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে ঘোষণা দিয়েছিলেন এবারে সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবাবের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। আমরা আজ স্বাধীনতা পেয়েছি, কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি হয়নি, এদেশের কিছু রাজাকার, আলবদর এখনও দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। আগামী দিন শিক্ষার্থীরা নেতৃত্বে আসবে, তাই শিক্ষার্থীদের সজাগ থাকতে হবে ঐ রাজাকার আল-সামস্দের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করে পুণরায় সরকার গঠন করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দুর্বার গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হতে পারো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষর্থীদের শৃঙ্খলাবোধ দেখে আমি মুগ্ধ। সোমবার (০৬’ মার্চ-২০২৩ খ্রি.) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবনা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির শিক্ষার্থী সম্মিলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন মাছরাঙ্গা টেলিভিশন ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সচিব ও সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. মজিবুর রহমান, পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. স. ম. আব্দুর রহিম পাকন, পাবনা চেম্বার অব কর্মাসের সিনিয়র সহসভাপতি আলী মর্তৃজা বিশ্বাস সনি। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির পাবনা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহিদ হাসান ইমন।
অনুষ্ঠান শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য, সহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধণা ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে অতিথিবৃন্দ, দর্শক, শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের হৃদয় মাতানো হয়।